গঠনতন্ত্র

১। ভূমিকাঃ চট্রগ্রাম নন্দনকানন বৌদ্ধ বিহার এ ২০১১ইং সালের ১৩ জুলাই সম্যক সংঘ নামে এর পথচলা শুরু হয়। এর এক বছর পর সম্যক বৌদ্ধ তারুণ্য সংগঠন নামে কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। বর্তমানে চট্টগ্রাম        মহানগর, রাঙ্গুনিয়া, রাউজানে এর কার্যক্রম বিদ্যমান

২। সংগঠনের নামঃ সম্যক – বৌদ্ধ তারুণ্য সংগঠন। ইংরেজিতে team shommok নামে পরিচালিত হবে।
    তবে সামাজিক কাজে অন্য ধর্মের কল্যাণ কার্যক্রমে শুধুমাত্র সম্যক নামে পরিচালিত হবে, নিচে ট্যাগলাইন এ লিখা থাকবে -সবার জন্য আমরা

৩। সংস্থার প্রতীক ও সীলমহরঃ নীল পদ্মের নিচে বুদ্ধ পতাকা নিচে সম্যক এর নিচে team shommok লিখা।

৪। সংগঠনের ধরণঃ বাংলাদেশের বৌদ্ধ জনগোষ্ঠীর কল্যাণে সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষানুরাগী এবং অলাভজনক সংগঠন।

৫। সংগঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ
* বৌদ্ধ ধর্মীয় বিভিন্ন উৎসব আয়োজনকরণ ও অংশগ্রহণ।
* বিভিন্ন ধর্মীয় আয়োজন করার পাশাপাশি সামাজিক, মানবিক, সমাজ সচেতনতা সহসাহায্যমূলক অনুষ্ঠান আয়োজন ও অংশগ্রহন।
* বৌদ্ধ শিশুদের নিয়ে বিহারভিত্তিক ধর্মীয় শিক্ষা জাতীয় অনুষ্ঠানে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা এবং ধর্মীয় বৃত্তি পরীক্ষা সহ উৎসাহমূলক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করন।
* বৌদ্ধ ধর্মীয় অনাথ আশ্রম এবং অন্য ধর্মের অন্তুরভুক্ত অনাথ আশ্রম সমূহে শিক্ষাসামগ্রী, খাদ্য সামগ্রী বিতরণের ব্যবস্থা গ্রহন।
* মেধাবী ও অসচ্ছল ছাত্র ছাত্রীদের মাঝে সাধ্য অনুযায়ী বৃত্তি প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহন।
* বিভিন্ন কর্মশালা, কুইজ, খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, চিকিৎসা সেবা ও ধর্মীয় সচেতনতা বৃদ্ধি মূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন।
* দেশের বিভিন্ন দূর্যোগে সাহায্য সামগ্রী নিয়ে দুঃস্থদের পাশে এগিয়ে যাওয়া।
* গুণীজন ও কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান আয়োজন
* জাতীয় দিবসসমূহে সংগঠনের পক্ষ হতে অনুষ্ঠানাদি আয়োজন ও উদযাপন করন।
* সংগঠনের সদস্যের মনন চর্চা বৃদ্ধিতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পাঠচক্র, বিভিন্ন বৌদ্ধ দর্শনীয় স্থান পরিদর্শন করন।
* সর্বপরি সামাজিক যেকোন ভালো কাজে সংগঠন তথা সদস্যদের অংশগ্রহণ।

৬। উপদেষ্টা পরিষদঃ
* বর্তমান কমিটির বাইরে থাকা (সিনিয়র) সকল সদস্যই কেন্দ্রীয় কমিটি মতামতের ভিত্তিতে উপদেষ্টা পরিষদের অন্তর্ভুক্ত হবে। এছাড়াও সংগঠনের শুভাকাঙ্ক্ষীদের এবং সকল কার্যকরী পরিষদের সম্মতির ভিত্তিতে উপদেষ্টা পরিষদে যুক্ত করা যাবে।।
* কেন্দ্রীয় কমিটি প্রয়োজনবাধে সমাজের বিজ্ঞ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে গঠনমূলক পরামর্শ গ্রহণের জন্য উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করতে পারবেন। উপদেষ্টা পরিষদ কার্যকরী পরিষদ আমন্ত্রণক্রমে সংগঠনের সুনির্দিষ্ট বিষয়ে উপদেশ বা পরামর্শ প্রদান করবেন। কেন্দ্রীয় কমিটি এবং সকল কার্যকরী কমিটি সম্মতির ভিত্তিতে উপদেষ্টা পরিষদ বিলুপ্ত করতে পারবেন।

৭। দাতা সদস্যঃ
(৭.ক) সাংগঠনিক অথবা সামাজিক/মানবিক উন্নয়ন কর্মকান্ডের জন্য বাংলাদেশ বা বহিঃবিশ্বের যেকোন ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠান (একক বা যৌথভাবে) ২০০০টাকা অথবা এর উর্ধে যেকোন পরিমানের টাকা প্রদানের মাধ্যমে দাতা সদস্য হতে পারবেন।
(৭.খ) দাতা সদস্যপদ প্রাপ্তি ব্যাক্তি অথবা প্রতিষ্ঠান নাম সংগঠনের ফেইসবুক পেইজ/ ওয়েবসাইটে (সংগঠনের বিভিন্ন প্রকল্পে যদি অর্থ প্রদান করে তার নাম ও টাকার পরিমাণসহ) প্রদর্শিত হবে।

৮. কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটি
সাবেক হওয়া সকল জেলা কার্যকরী পরিষদ হতে এবং সংগঠনের প্রতি দায়িত্বশীলতার জন্য সর্বোচ্চ দুই হতে অধিক জনকে কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের জন্য মনোনীত করা হবে, যাঁরা কিনা শাখা কার্যকরী পরিষদ ও উপদেষ্টা পরিষদের মধ্যে সেতুবন্ধনের কাজ করবেন। এছাড়া সকল শাখা ভিত্তিক কার্যক্রম তাদের সম্মতি সাপেক্ষে জেলা কার্যকরী পরিষদ কমিটি গঠন করবে। কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের মেয়াদ থাকবে ২ বছর।

৯. শাখা কার্যকরী পরিষদঃ

সংগঠনের জেলা/উপজেলা ভিত্তিক কার্যক্রম সুষ্ঠভাবে পরিচালনার জন্য ১০-১৫ জন অথবা তার অধিক সদস্যে নিয়ে শাখা কার্যকরী পরিষদ গঠিত হবে। কমিটির মেয়াদকাল হবে ১ বছর। কমিটি অনুমোদন হয়ে যাওয়ার পর, নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্ত করা যাবে। তারা সকলে কার্যকরী সদস্য হিসাবে মনোনীত হবে।

পদ সমূহের নাম
সভাপতি
*সহ সভাপতি
সাধারণ সম্পাদক
*যুগ্ম সাধারন সম্পাদক
*সাংগঠনিক সম্পাদক
*অর্থ সম্পাদক
*প্রচার-প্রকাশনা সম্পাদক
*শিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক
*দপ্তর সম্পাদক
*আন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক
*সাংস্কৃতিক সম্পাদক
বিঃদ্রঃ ১। তারকা (*) চিহ্নিত পদগুলো এবং বিশেষ প্রয়োজন অনুযায়ী সদস্য সংখ্যায় সংযোজন-বিয়োজন করা যাবে।

১০ । উপদেষ্টা পরিষদ ও দাতা সদস্যদের ক্ষমতা ও দায়িত্বঃ
* সকল কার্যকরী পরিষদকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে সার্বিক পরিকল্পনা প্রণয়নে সহযোগীতা করবেন।
*সংগঠনের উন্নয়নের জন্য আর্থিকভাবে সহযোগিতা করবেন।
* প্রতিষ্ঠানের যে কোন অনুষ্ঠানে যোগদান করবেন।

১১। প্রতিষ্ঠাতার ক্ষমতা ও দায়িত্বঃ

* আজীবন সংগটনের প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে শুভ বড়ুয়া গণ্য হবেন। 
* সংবিধান/গঠনতন্ত্র পরিবর্তন ও সংশোধনের সময় প্রতিষ্ঠাতার অনুমতি নিতে হবে।
* সাংগঠনিক কোন জটিলতায়/উন্নয়ন/শাখা বৃদ্ধিকল্পে প্রতিষ্ঠাতার অনুমতি নিতে হবে।
* প্রতিষ্ঠাতা কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ, শাখা কমিটি অনুমোদন দিবেন ও প্রয়োজনে কমিটি স্থগিত করতে পারবেন।

১২. কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের দায়িত্বঃ

* কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ শাখা কমিটি সমূহের সদস্যের অন্তর্ভুক্তি মূল্যায়ন, কমিটি পরিকল্পনা, মতামত প্রদান করবেন। 
* শাখা কমিটি সমূহের মাঝে গঠনমূলক উপদেশ, পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা আহবান করতে পারবে। শাখা কমিটি কোন আয়োজনের পরিকল্পনা করলে তার অনুমোদন দিবে কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ ৷
* কেন্দ্রীয় কমিটি নিজস্ব ফান্ড গঠন করবে। নিজেদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে এ ফান্ড এর টাকা নির্ধারণ হবে।

১৩. শাখা কার্যকরী পরিষদের দায়িত্বঃ

* শাখা কার্যকরী পরিষদ নিজেদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সংঘটনিক আয়োজন ঠিক করবে তা পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় কমিটিকে জানানোর মাধ্যমে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে। 

* শাখা কার্যকরী পরিষদ যে কোনো অনুষ্টানে কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ ও অন্যান্য শাখা কার্যকরী পরিষদ এর নেতৃবৃন্দদের আমন্ত্রণ জানাবেন। 

* শাখা কার্যকরী পরিষদ কমিটির সদস্যরা সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রতি মাসে প্রত্যেক সদস্য ১৫০ টাকা করে ফান্ড গঠন করবে (শাখা কার্যকরী পরিষদ এ ফি নিজ নিজ প্রয়োজন বোধে বাড়াতে বা কমাতে পারবে, তবে সকলের অনুমতি লাগবে) তা প্রত্যেক মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে এর মধ্যে শাখা কার্যকরী পরিষদ এর অর্থ সম্পাদক এর কাছে প্রদান করতে হবে।
* প্রত্যেক মাসে এক অথবা প্রয়োজনবোধে একের অধিক সদস্যদের নিয়ে সভা আয়োজন করতে হবে।
* প্রত্যেক ২য় মাসের শেষ সভায় অর্থ সম্পাদক মাসিক আয় ব্যয় এর হিসাব প্রদান করবেন ৷

১৪. কার্যকরী পরিষদ সদস্যদের কাজ –

* সভাপতিঃ প্রতিটি কার্যকরী পরিষদের সভাপতি নিজ কমিটির সভার সভাপতিত্ব করবেন এবং সভা পরিচালনার সম্পূর্ণ ক্ষমতা তার উপর ন্যস্ত থাকবে। বিশেষ জরুরি অবস্থায়, সাধারণ সম্পাদক নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সভা আহ্বান না করলে তিনি তা আহ্বান করতে পারবেন। নিজ নিজ পরিষদের সভার প্রয়োজনীয় খরচ বাবদ সভাপতি বাজেট অনুমোদন করতে পারবেন।

* সহ সভাপতিঃ সভাপতিকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করবেন, সভাপতির অবর্তমানে তিনি সভাপতির অনুমোদনক্রমে, সভাপতির স্থলাভিষিক্ত হয়ে তাঁর কাজ চালাতে পারবেন।

* সাধারণ সম্পাদকঃ সভাপতির সঙ্গে আলোচনাক্রমে তিনি সংগঠনের নিজ নিজ পরিষদের সভা আহ্বান করবেন এবং সভার কার্যবিবরণী লিপিবদ্ধ করার ব্যাবস্থা গ্রহণ করবেন। সংগঠনের নথিপত্র ও সম্পদ তাঁর তত্ত্বাবধানে থাকবে এবং এ ব্যাপারে তিনি একটি রেজিস্টার খাতা রাখবেন । সভাপতির সাক্ষর থাকবে। তিনি নিজ নিজ পরিষদের বছরের কার্যবিবরণী প্রস্তুত করবেনন এবং তা কার্যকরী পরিষদের অনুমোদনক্রমে, তিনি তা কেন্দ্রীয় কমিটির বার্ষিক সাধারণ সভায় পেশ করবেন।


* যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকঃ সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাঁকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করবেন এবং সাধারণ সম্পাদকের অনুপস্থিতি বা অবর্তমানে যুগ্ম সাধাররণ সম্পাদক, সাধারণ সম্পাদকের অনুমোদনক্রমে তাঁর সকল দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করবেন।

* সাংগঠনিক সম্পাদকঃ সংগঠনের কার্যক্রমকে গতিশীল রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন এবং সংগঠনের কার্যক্রমে স্থীরতা প্রকাশ পেলে এর কারণ নির্ণয় করে তা দূরীকরণের জন্য সভাপতি/ সাধারণ সম্পাদকের সাথে আলোচনাপূর্বক করণীয় নির্ধারণ করবেন। এছাড়াও সংগঠনের শৃঙ্খলা এবং ব্যাপ্তি ঘটানোর জন্য নিবেদিত প্রাণ হিসেবে কাজ করাই তার প্রধান কাজ।

* যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদকঃ সাংগঠনিক সম্পাদকের অনুপস্থিতি বা অবর্তমানে যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদকের অনুমোদনক্রমে তাঁর সকল দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করবেন।


* অর্থ সম্পাদকঃ তিনি সংগঠনের নিজ নিজ পরিষদের তহবিল রক্ষণাবেক্ষণ করবেন এবং বার্ষিক হিসাব নিরীক্ষার ব্যবস্থা করবেন। নিজ নিজ কার্যকরী পরিষদ ও সংগঠনের বার্ষিক সাধারণ সভায় মেয়াদ শেষে কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের নিকট আয়-ব্যয়ের হিসাব পেশ করবেন।

* দপ্তর সম্পাদকঃ তিনি সংগঠন সংক্রান্ত যাবতীয় নথিপত্র, সিলমোহর বই, প্যাডসহ অন্যান্য দাপ্তরিক উপকরণ সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করবেন। সংগঠনের নিজ নিজ পরিষদের নোটিশপত্র, চিঠিপত্র, আবেদনপত্র সর্বপরি দাপ্তরিক কাজসমূহ পালন করবেন। তিনি সংগঠনে নতুন সদস্য অন্তরভুক্তি করাতে পারবেন ৷

* প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদকঃ তিনি সভাপতি / সাধারন সম্পাদকের নির্দেশনানুযায়ী সংগঠনের কার্যক্রম প্রচার ও প্রসারের জন্য বিভিন্ন ব্যাক্তি দাতা-গোষ্ঠী ও বিভিন্ন অনলাইন-অফলাইন প্রচারে সহযোগীতা করবে। এছাড়া বার্ষিক প্রকাশনা/ ম্যাগাজিন প্রকাশনা ইত্যাদি ক্ষেত্রেও দায়িত্ব পালন করবেন।

* আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদকঃ সংগঠনের প্র্রয়োজনে আন্তর্জাতিক পযায়ে ব্যাক্তি, বিভিন্ন সংগঠনের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব এবং সংগঠনের প্রয়োজনে ফান্ড গঠন ও সংগঠনে আন্তর্জাতিক নতুন সদস্য অন্তরভুক্তি করা ।

* শিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদকঃ শিক্ষা ও গবেষণা সংক্রান্ত যেকোন কাজে পরিচালনার দায়িত্ব নিবেন। বৃত্তি পরীক্ষার আয়োজনসমূহের সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনার কাজ সম্পাদন করবেন,সংগঠনের পরিচলনায় বিহার ভিত্তিক ধর্মীয় শিক্ষা কার্যক্রম যদি পরিচালনা করা হয় তার দেখভাল করবে।

* সাংস্কৃতিক সম্পাদকঃ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়ােজনের ব্যাপারে সর্বপরি দায়িত্ব পালন করবে।


* কার্যকরী সদস্যঃ নিজ নিজ কার্যকরী পরিষদের সভাপতির পরামর্শ ও নির্দেশক্রমে এবং নিজ নিজ কার্যকরী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংগঠনের সকল কাজে অংশ গ্রহণ করবেন। সদস্যগণ সংগঠনের কার্যকরী ও সাধারন পরিষদের সভায় উপস্থিত সকল বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহনে তাদের মতামত প্রদান করবেন। সংগঠনের কার্যক্রম গতিশীল ও গৃহীত কার্যক্রম বাস্তবায়নে নিজ নিজ কার্যকরী পরিষদ কর্তৃক তাদের উপর অর্পিত যে কোন দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট হবেন।

১৫. প্রাথমিক সদস্য হওয়ার শর্তাবলিঃ

বাংলাদেশ সহ বহি বিশ্বে বসবাসরত বৌদ্ধ এবং ১২ বছরের উপরে যে কোন বৌদ্ধ ছাত্র ছাত্রী, যুবক যুবতী, জনসাধারণ সংগঠনের অন্যান্য শর্তাবলি পূরণ সাপেক্ষে সদস্য হতে পারবেন। নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্ত হতে কোনো ফি প্রদান করতে হবে না, অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পরে মাসিক ফি প্রদান করতে হবে। নির্ধারিত ফরম ওয়েবসাইট অনলাইনে পূরণ পূর্বক সদস্য হতে হবে।

১৬. সদস্য পদ থেকে বহিষ্কারঃ
* কোন সদস্য যদি মানসিক ভারসাম্য হারান।
* কোন সদস্য যদি পরপর ২ মাসের মাসিক ফি প্রদান না করেন। তদ্রূপ পরপর তিনটি সভায় অনুপস্থিত থাকলে তার সদস্যপদ বাতিল হবে।
* কোন সদস্য সমাজ ও রাষ্ট্র বিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত হলে, এবং সংগঠনের নাম ব্যবহার করে কারো বিরুদ্ধে বক্তব্য প্রদান করলে।
* যদি কার্যকরী পরিষদের কোন সদস্য এর সদস্য পদ বাতিল হয় তবে সে কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক বহিষ্কৃত হবে।
* কার্যকরি কমিটির এক তৃতীয়অংশ সদস্য কোন সদস্যের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব দেয় সে ক্ষেত্রে তাকে বহিষ্কার করার জন্য কার্যকরী পরিষদের নিকট সুপারিশ করা যাবে পরবর্তীতে এ সুপারিশ কেন্দ্রীয় কমিটিকে জানানোর পর বিবেচনা করে বহিষ্কার আদেশ সম্মতি প্রদান করা হবে।

১৭. পদ হতে ইস্তফাঃ
* কোনো শাখা পরিষদের সভাপতি/সাধারন সম্পাদক কোন কারণে পদত্যাগ করতে চান তাহলে কমপক্ষে ১ মাস আগে প্রতিষ্ঠাতা/কেন্দ্রীয় কমিটি বরাবর লিখিত/ মৌখিক আকারে জানাবেন।
* যদি কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের কোন সদস্য কোন কারণে পদত্যাগ করতে চান তাহলে কমপক্ষে ১ মাস আগে কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের সভাপতি বরাবর লিখিত/ মৌখিক আকারে জানাবেন।

১৮. নির্বাচন পদ্ধতিঃ
* কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদঃ প্রতিষ্ঠাতার পরামর্শক্রমে, সদ্য বিদায়ী শাখা কার্যকরী পরিষদের থেকে মনোনীতদের নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে কমিটি গঠিত হবে।
* শাখা কার্যকরী কমিটি: শাখা কমিটি গঠনের লক্ষে সেই শাখায় ফরম পূরণকৃত সদস্যদের লিস্ট কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে জমা দিতে হবে। জমা দেওয়া লিস্ট প্রাপ্তি শেষে সকলকে নিয়ে সেই শাখায় কেন্দ্রীয় কমিটি সভা আহবান করবে এবং প্রত্যেক সদস্যদের আলাদাভাবে মৌখিক পরস্পর কথার মাধ্যমে তার থেকে সাংগঠনিক দক্ষতা সম্পর্কে জানতে চাইবে এছাড়া সাংগঠনিক গুণাবলি স্পৃহা ইত্যাদি দেখে সদস্যদের কার্যকরী পদে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
* শাখা কমিটি নির্বাচনে তাদের পদ বিন্যাসের এখতিয়ার সম্পূর্ণ কেন্দ্রীয় কমিটির। এর মেয়াদ থাকবে ২ বছর। ।

১৯. বিধি ও আইনের প্রাধান্যঃ অত্র গঠনতন্ত্রের যা-কিছু উল্লেখ থাকুক না কেন উক্ত সংগঠনটি দেশের প্রচলিত আইনানুযায়ী ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের অনুমদনক্রমে সকল কার্যক্রম পরিচালিত হবে।